Please wait...
This is logo

EIIN Number :131371
Code Number :00000
Email: [email protected]
Contact: 01775536848

নোটিশ
প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এর বাণী

প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এর বাণী

প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এর বাণী

পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি নির্ভর এই শতাব্দীতে - রাষ্ট্র, সমাজ, অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক বানিজ‍্য, উৎপাদন, শ্রমবাজার, স্বাস্হ‍্য খাত, মানুষের মৌলিক চাহিদার পূরণের সকল ক্ষেত্র, দিন দিন প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠছে। উৎকর্ষতা ও দক্ষতা উন্নয়নে, প্রযুক্তির নতুন নতুন বিষয় ও পরিবর্তনসমূহ; শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে সময়মতো সংযোজন করা অত‍্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতিমালায় কারিগরী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণকে প্রাধান‍্য দেয়া হয়েছে। ২০২১ সাল থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ষষ্ট শ্রেণীতে কারিগরী শিক্ষার উপর বিষয় রাখা হয়েছে। ২০২২ থেকে  বছর ৭ম শ্রেণী ও অষ্টম শ্রেণীতে কারিগরি  শিক্ষার বাধ‍্যতামূলক বিষয় চালু হয় । সরকার দেশের বর্তমানের তরুন-যুবকদের সংখ‍্যাধিক‍্যতাকে জনশক্তিতে রূপান্তরের জন‍্যে জাতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আলোকে কারিগরি  শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ব‍্যবস্থার  মান উন্নয়নে ব‍্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করছে। এদেশকে, দ্রুত মধ‍্যম আয়ের দেশে উন্নীতকরণের লক্ষ‍্যে ও জাতিসংঘ নির্ধারিত "টেকসই উন্নয়ন লক্ষ‍্যমাত্রা"  বা এসডিজি অর্জনে; মানসম্পন্ন কারিগরী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণই হচ্ছে এ সময়ে শ্রেষ্ট হাতিয়ার। দক্ষ প্রযুক্তি শিক্ষিত প্রজন্ম,  আমাদের দেশকে উন্নত বিশ্বের সমমানে উন্নীত করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখার সক্ষমতা রাখে। চাহিদা ভিত্তিক বাস্তব ও কর্মমূখী আধূনিক কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ; বিশ্বের প্রতিযোগিতামূলক শ্রমবাজারে এদেশের জনশক্তিকে অবস্থান  তৈরীতে প্রভূত সহায়তা করবে। কারিগরি শিক্ষায় বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সমূহকে আরো উৎসাহী করতে হবে। বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কারিগরি শিক্ষার্থীদের ব‍্যবহারিক ও হাতে কলমে কাজ শেখার অধিকতর সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। হাতে কলমে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ; শিক্ষার্থীদের আরো দক্ষ ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজার উপযোগী করে গড়ে তুলবে। চাহিদাভিত্তিক কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ; কর্ম-সংস্থানের নিশ্চয়তা দিবে, আত্ম- কর্মসংস্থানের অধিকতর সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। চাহিদা ভিত্তিক কারিগরি  ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ‍্যমে একজন কর্মী; সারা বিশ্বে কাজ করার যোগ‍্যতা অর্জন করে। 

বিশ্বের পরিবর্তনশীল কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সাথে সামন্জস‍্য রেখে "চাহিদা ভিত্তিক কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ" ব‍্যবস্থার মানোন্নয়ন ও এ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে উৎসাহিত করা সময়ের দাবীতেই জরুরী। এসডিজি বা "টেকসই উন্নয়ন লক্ষ‍্যমাত্রা" অর্জনে বাস্তবমূখী চাহিদা সম্পন্ন কারিগরী শিক্ষাকে প্রাধান‍্য ও উৎসাহিত করার মাধ‍্যমে বাংলাদেশে দক্ষ কর্মীবাহিনী গড়ে তুলতে হবে - যা এদেশকে দ্রুতই নিয়ে যাবে জাতির পিতার স্বপ্ন সোনার বাংলা বিনির্মাণের দিকে। 

 ছাত্রজীবনই ভবিষ্যৎ জীবনে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার উপযুক্ত স্থান হচ্ছে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গুণগত ও মানসম্পন্ন শিক্ষা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। আর টেকসই উন্নয়নের জন্য চাই কারিগরি শিক্ষা। সাধারণ শিক্ষা যেখানে তত্বীয় সর্বস্ব, সেখানে কারিগরি শিক্ষা ব্যবহারিক প্রয়োগ নির্ভর। যে সব দেশ যত উন্নত সে সব কারিগরি শিক্ষায় ততই উন্নত। পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত   দেশের ব্যাপক উন্নয়নের মূলে রয়েছে কারিগরি শিক্ষা। সম্প্রতি ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব প্রদানের মাধ্যমে উন্নতি সাধন করেছে। 

স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে ১৯৮৪ সালে দক্ষ কারিগরি নাগরিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে মাত্র দুইটি বিষয়ে বেসিক কোর্স তিন মাস এবং ছয় মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য  ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনষ্টিটিউট স্থাপন করা হয়। এতদাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠিকে কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করাই এ প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব।  দক্ষতা বিহীন সার্টিফিকেট নির্ভর বাজার মূল্যহীন শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠী দেশের বোঝা স্বরূপ। পক্ষান্তরে, কারিগরি শিক্ষায় একজন শিক্ষার্থী তার মেধা এবং যোগ্যতার পরিপূর্ণ ব্যবহারের সামগ্রীক সুযোগ পায়। ফলে দেশে ও বিদেশে সহজে কর্মসংস্থানের যেমন সুযোগ হয় তেমনি স্বাধীনভাবে প্রযুক্তি গত দক্ষতা কাজে লাগিয়ে স্ব নিয়োজিত পেশায় তার ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হয় । এতে করে দেশের বেকারত্ব হ্রাস পায়। শিক্ষার্থী কারিগরি বিষয় ভিত্তিক পড়াশুনা করে আত্মকর্মসংস্থান, দেশ ও বিদেশে বহুমুখী চাকুরীতে প্রবেশ করা সহ উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে এদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত করতে অবদান অব্যাহত রাখবে। আর এই অবদানকে এগিয়ে নিতে কাপাসিয়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ সহায়ক ভুমিকা পালন করবে। “একাবিংশ শতব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়, সমাধান একমাত্র কারিগরি শিক্ষায়।” 

বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং দেশের বেশির ভাগ মানুষকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত ও দক্ষ জনবলে পরিনত করার লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে চলেছি । ২০২২ সাল  থেকে অত্র প্রতিষ্ঠানটি অত্যন্ত সফলতার সাথে সৎ, যোগ্য ও আলোকিত দক্ষ মানুষ গড়ার মাধ্যমে একটি সুশৃংখল জাতি গঠনে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আমি এ প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর উন্নতি ও সাফল্য কামনা করছি।